ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয় সিনেমার একটি হচ্ছে ‘দাগি’। সিনেমাটির মাধ্যমে দুই বছর পর বড় পর্দায় ফিরেছেন আফরান নিশো। ঈদের দিন মুক্তির পর থেকেই ‘দাগি’ সিনেপ্লেক্সগুলোতে হাউজফুল যাচ্ছে। হলেও আছে দর্শক উপস্থিতি। যা এই অভিনেতা ও সিনেমার পুরো টিমকে আনন্দিত করছে। মুক্তির একদিন পরই নতুন খবর জানালেন সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা আলফা আইয়ের কর্ণধার শাহরিয়ার শাকিল। তিনি জানালেন, ঈদের দিন থেকে মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটির ৩৪টি শো চলছিল। একদিন যেতে না যেতেই আরও ১০টি শো বাড়ানো হয়েছে।
আলফা আই থেকে আরও জানানো হয়, কেবল সিনেপ্লেক্সে গতকাল ৩৪টি শো ছিল। আজ রানিং রয়েছে ৪৪টি শো। তার মানে দশটি শো বাড়ছে। যদিও শো বাড়ানো নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই ফেইক বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অফিসিয়ালি জানিয়েছেন শো বেড়েছে এটাই সত্যি। কে ফেইক বললো না বললো সেটা ভাবার বিষয় না। যা সত্যি আমরা তাই জানিয়েছি।
দাগি নিশোর দ্বিতীয় সিনেমা। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন তমা মির্জা। এতে আরও অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন।
এদিকে আইএমডিবিতে ‘দাগি’ রিভিউ জানিয়ে একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘দাগী’ সিনেমাটি দেখে আমি সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এই সিনেমায় আফরান নিশোর অভিনয় অসাধারণ ছিল। আমি বলতে চাইছি, এটা একেবারেই মূল্যবান। সবারই এই সিনেমাটি দেখা উচিত। এই সিনেমাটিতে আবেগঘন গল্প, শ্বাসরুদ্ধকর সিনেমাটোগ্রাফি এবং কিংবদন্তি আফরান নিশোর অসাধারণ অভিনয়ের সমন্বয় ঘটেছে।
আরেকজন দর্শকের কথায়, এটি একটি সিনেমার চেয়েও বেশি কিছু। আফরান নিশো এবং তমা মির্জা অভিনীত এই ছবিটি অ্যাকশন, রোমান্স এবং একটি গভীর, চিন্তা-উদ্দীপক বার্তার মিশ্রণে একটি অবিস্মরণীয় সিনেমাটিক যাত্রা প্রদান করে। নিঃসন্দেহে এটি বছরের সেরা বাংলাদেশি সিনেমা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুস্মিতা নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘দাগি’ অনেকের কাছেই ভাল্লাগবে না। যেমন আমার পাশের মানুষটা এই মুভিতে কোনো গল্প খুঁজে পায়নি। কিন্তু আমি পেয়েছি। নিশোর অভিনয় অন্তত দুই জায়গায় আমাকে কাঁদতে বাধ্য করেছে। সবাই মুভিটি হলে গিয়ে দেখবেন। একবার যার গায়ে জেলের দাগ লেগে যায়। একবার যে দাগি হয়ে যায় সামাজিকভাবে সে কখনোই আর মুক্ত হতে পারে না।
খুলনা গেজেট/এএজে